স্টাফ রিপোর্টার। রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা কে এম ইফতেখারুল এর বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
এবং ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগসমূহ প্রত্যাহারপূর্বক ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্মারকলিপি প্রদান করেছে তারাগঞ্জের খামারী বৃন্দ। এ সময় খামারিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
আরিফ বিল্লাহ, আরিফুল ইসলাম লাভলু,আব্দুর রহিম, সিদ্দিকুর রহমান, বাবুল হোসেনসহ অন্যান্য খামারি বৃন্দ।
খামারিরা বলেন আমরা রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। উপজেলার সাধারণ মানুষ আমরা অত্যন্ত শান্তি প্রিয়। আমরা গভীর উদ্বেগ ও
উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে, একটি গোষ্ঠী শান্তিকামী তারাগঞ্জ উপজেলার শান্ত পরিবেশকে বিভিন্নভাবে অশান্ত করার অপচেষ্টায়
সার্বক্ষনিকভাবে লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে শুরু করে উপজেলার
বিভিন্ন দপ্তরে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ, বিভিন্ন কাজে বাধা প্রদান, সরকারের উন্নয়ন কাজের সমালোচনা সহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চক্রান্তে
কুচক্রীমহলটি সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে
মানুষকে বিভ্রান্ত করে গত ১৮ তারিখের মানববন্ধন করে উপজেলার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন ও প্রশাসনিক কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কুচক্রী
মহলের একটি হীন চক্রান্ত।
আমরা শান্তি প্রিয় উপজেলাবাসী এ কুচক্রী মহলের এ হীন চক্রান্তের তীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এখানে উল্লেখ্য যে, উপজেলার ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারীদের একমাত্র ভরসা তাদের দুই একটি গাভী, বলদ ও ষাঁড় লালনপালন করে তাদের
ভাগ্য পরিবর্তনের আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত। তাদের এ পরিশ্রমের ফসলকে নস্যাৎ করার জন্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে যারা বিভিন্ন
সময়ে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বিভিন্ন রকমের এন্টিবায়োটিক, ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স ব্যবহার করে তাদের থেকে অর্থ হাতিয়ে
নিচ্ছে। চিকিৎসার নামে করছে অপচিকিৎসা। তাছাড়াও উক্ত খামারীদেরকে সরকার, সরকারী টিকা, সিমেন ও ঔষধের নামে
অপপ্রচার চালিয়ে খামারীদের প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করছে। ফলশ্রুতিতে, খামারীরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। এরই সুযোগ নিয়ে
১৫০ টাকার সীমেন তার খামারিদের নিকট যত ৮০০-১৫০০ টাকার বিনিময়ে প্রয়োগ করছে এবং ডাক্তারী সনদ ব্যতিরেকে বিভিন্ন
সময়ে তারা এন্টিবায়োটিক ও হরমোনের মত ঔষধ ব্যবহার করছে। সরকারী দপ্তর এসব সিন্ডিকেটের কবল থেকে সাধারণ
খামারিদের রক্ষার চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই এই সিন্ডিকেটটি বিভিন্নভাবে সরকারী দপ্তরকে হয়রানির হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
এমতাবস্থায়, আমরা এলাকাবাসী ও খামারীবৃন্দ নিম্নলিখিত দাবী ও এর প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা
করছি। পাশাপাশি প্রতিটি বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দুষ্ট চক্রকে সনাক্ত পূর্বক শান্তির আওতায় এনে শান্তিপ্রিয় উপজেলাবাসীর
শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি। খামারিরা আরও বলেন এলাকার শান্তি বিঘ্নিতকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির প্রদান।এলাকার শান্ত পরিবেশ বজায় রাখা। সিন্ডিকেট চক্রটি নিশ্চিহ্ন করা।খামারীদের নিকট হতে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করা।একই ব্যক্তি সরকারি-বেসরকারি দুই জায়গায় কর্মরত থাকা থেকে বিরত রাখা।
পরিশেষে উপরোক্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে তারাগঞ্জবাসীর শান্তি ও ক্ষুদ্র প্রান্তিক
খামারীদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থেকে রক্ষার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
Leave a Reply